কক্সবাজারে ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবা এবং প্রায় দুই কোটি টাকা জব্দের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানায় বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দুটি হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আটক যুবদল নেতা ফারুকসহ পাঁচ মাদক কারবারিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
গেল মঙ্গলবার দুই দফায় অভিযানে ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবা, ১ কোটি ৭১ লাখ টাকাসহ পাঁচ জনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। এটি এযাবৎকালে কক্সবাজারের সর্বোচ্চ মাদকের চালান বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম অভিযানটি চালানো হয় কক্সবাজার সদরের চৌফলদণ্ডী সেতুসংলগ্ন নৌঘাটে। ওই সময় একটি মাছধরার ইঞ্জিনের নৌকা থেকে ১৪ লাখ ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ। আটক করা হয় নৌকার মালিক নুরুল ইসলাম বাবুইয়া ও জহিরুল ইসলাম ফারুককে।
এর আগের অভিযানে ফারুকের দেয়া তথ্যে দুই বস্তা টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে জহিরুলের স্বীকারোক্তিতে তার শ্বশুর আবুল কালাম ও শ্যালক শেখ আবদুল্লাহকে আটক করে পুলিশ। রাতে জহিরুলের চাচাশ্বশুর সৈয়দ আলমের বাড়ি থেকে আরও ৩ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ সময় সৈয়দ আলমের স্ত্রী ছমিরাকেও আটক করা হয়। এরপর জহিরুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে দুটি বস্তায় ভর্তি ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করে পুলিশ।
এদিকে, জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বুধবার জানিয়েছেন, কক্সবাজার ও এর আশপাশের এলাকার ৮০ জন মাদক কারবারিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের তালিকা করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে, অভিযানও চলছে।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত কারবারি পরিবর্তন হচ্ছে। ভিন্ন কৌশলে ইয়াবার কারবারে তারা সংযুক্ত হচ্ছেন। তাদের ওপর নজরদারিতে গোয়েন্দা ইউনিট কাজ করছে।