ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর করেছেন রোগীর স্বজনরা।
বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষে ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দাওয়াত খেতে গিয়ে আলভি এলাহি নামের ১০ বছরের এক শিশু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। আখাউড়া উপজেলার টানমান্দাইল গ্রামে বিকেল ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। আলভি বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা বাবুল এলাহির ছেলে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, আলভি ও তার পরিবার আখাউড়া উপজেলার গৌঘাট গ্রামে তার (আলভি) বাবার নানা শ্বশুরের বাড়িতে মৃত্যবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যায়। একপর্যায়ে আলভি ওই বাড়ির ছাদে উঠে খেলার সময় বিদ্যুতের একটি কেটে ফেলা তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছাদ থেকে পড়ে যায়। মাটিতে থাকা ইটে আলভির মাথার পেছনে আঘাত লাগে। তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার সময় আলভি মারা যায়।
আলভির চাচাতো ভাই আলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘হাসপাতালে আনার সময় সে জীবিত ছিল। কিন্তু হাসপাতালে আনার আধ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক বা নার্স আলভির কাছে যাননি। পরে এক নার্স এসে আলভিকে অক্সিজেন দেন।'
এ বিষয়ে চিকিৎসক এবিএম মুসা চৌধুরী বলেন, আলভিকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর কথা জানানো হয়। তখন রোগীর (আলভি) মা-বাবা কেউ না থাকায় ঢাকা নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না কেউ। তখন রোগীকে সাজারি ওয়ার্ডে ভর্তি করানোর কথা বলা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই রোগীর মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, তারা ডাক্তারের গাফিলতি বলে অতর্কিতভাবে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় এবং জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষ ভাঙচুর করে।
তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে।
ওসি আব্দুর রহিম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও মামলা হয়নি।