বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

থুতু ফেলায় খুন : গ্রেপ্তার ৩

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:১১

রাতেই তিন জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছিল পুলিশ। বুধবার সকালে নিহত রুহেল মিয়ার বাবা লিয়াকত আলী পাঁচ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২/৩ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর ওই তিন জনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ঘরের সামনে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নিহত রুহেল মিয়ার চাচা গেন্দু মিয়া, চাচি মোমেনা বেগম ও চাচাতো ভাই ইয়াহিয়া।

রাতেই তিন জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছিল পুলিশ। বুধবার সকালে নিহত রুহেল মিয়ার বাবা লিয়াকত আলী পাঁচ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২/৩ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর ওই তিন জনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গেন্দু মিয়া ও লিয়াকত আলী আপন ভাই। লিয়াকত আলীর সাত ছেলে আর গেন্দু মিয়ার পাঁচ ছেলে। একই বাড়িতে বসবাস করেন দুই পরিবার। রুহেল তার স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলার টিঘর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে থাকেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কাউসারদের দরজার সামনে রুহেলের মা জরিনা বেগম থুতু ফেলেন। তার জের ধরে রুহেলের মাকে মারধর করেন গেন্দু মিয়ার ছেলে কাউছার ও আবু বক্কর। মাকে লাঞ্ছিত করার খবর শুনে রুহেল সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে এর প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাউছার ও তার পরিবারের সদস্যরা রাতে আবারও রুহেলের মা ও ভাইদের উপর হামলা করেন। একপর্যায়ে তারা রুহেলকে ছোরা ও বল্লম দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় রুহেলকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

বুধবার সন্ধ্যায় সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএমএম নাজমুল আহমদ বলেন, রুহেলের বাবা লিয়াকত আলী একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় রুহেলের চাচা-চাচি ও তাদের এক ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনও কাউসার ও বক্কর পলাতক রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর