কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় মেছোবাঘের একটি শাবক উদ্ধার হয়েছে। উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের টিএনটি ইটভাটার চুল্লির কাছে সোমবার সন্ধ্যায় পাওয়া যায় সেটি।
এই মেছোবাঘটিকে গত মাসে কুমিল্লা চিড়িয়াখানা থেকে পালিয়ে যাওয়া মেছোবাঘ বলে দাবি করেছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে খবরও প্রকাশিত হয়।
তবে নিউজবাংলার পর্যবেক্ষণে ধরা পড়ে, সর্বশেষ উদ্ধার হওয়া মেছোবাঘটি আগেরটি নয়। সবশেষ উদ্ধার হয়েছে মেছোবাঘের একটি ছানা এবং পালিয়ে যাওয়া মেছোবাঘটি ছিল প্রাপ্তবয়স্ক।
ইটভাটায় উদ্ধার মেছোবাঘের শাবকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার সদস্যরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কুমিল্লা চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করেছে।
টিএনটি ইটভাটার পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় ইটভাটার চুল্লির কাছে মেছোবাঘের শাবকটিকে দেখি। শাবকটি চুল্লির খুব কাছে ছিল। কৌশলে এটিকে আটক করি। পরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার সদস্যরা শাবকটিকে নিয়ে যায়।’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা জানান, মঙ্গলবার তারা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষের কাছে শাবকটি হস্তান্তর করেছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার হয় মেছোবাঘ শাবক
কুমিল্লা জেলা পরিষদের অধীনে পরিচালিত হয় চিড়িয়াখানা। পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মঙ্গলবার আনা শাবকটিই নিখোঁজ হওয়া সেই মেছোবাঘ।
তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রকাশের পর নিউজবাংলার পর্যবেক্ষণে ধরা পড়ে এই মেছোবাঘ পালিয়ে যাওয়া মেছোবাঘটি নয়।
দুটির ছবি দেখিয়ে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে চিড়িয়াখানা থেকে পালিয়ে যাওয়া মেছোবাঘটি বড় ছিল। এখন উদ্ধার হওয়া মেছোবাঘটি ছোট। চিড়িয়াখানার খাঁচার অবস্থা ভালো না থাকায় বড়টি পালিয়ে যায়।’
গত ২৩ জানুয়ারি বালুবাহী বাল্কহেডে করে প্রাপ্তবয়স্ক ওই মেছোবাঘটি সিলেট থেকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় চলে আসে। সেদিনই উদ্ধার করা হয় মেছোবাঘটি। পরদিন জেলা প্রশাসন কুমিল্লা চিড়িয়াখানায় সেটি হস্তান্তর করে। কিন্তু ২৫ জানুয়ারি সকাল থেকেই সেটির আর খোঁজ মিলছিল না।
২৩ জানুয়ারি উদ্ধার হয় প্রাপ্তবয়স্ক মেছোবাঘ
এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। কমিটি তদন্ত এখনও শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর।