বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বগুড়ায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:৪৯

বুধবার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার সঙ্গে তার কার্যালয়ে মোটর মালিক-শ্রমিক নেতাদের বৈঠকের পর দুপুর ২টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয় বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন পরিবহন মালিক নেতা আব্দুল মান্নান আকন্দ।

পুলিশ আরও মামলা নেয়ার আশ্বাস দেয়ায় বগুড়ায় জেলা মোটর মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির ডাকা পরিবহন ধর্মঘট শুরুর আট ঘণ্টার মাথায় প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার সঙ্গে তার কার্যালয়ে মোটর মালিক-শ্রমিক নেতাদের বৈঠকের পর দুপুর ২টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয় বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন পরিবহন মালিক নেতা আব্দুল মান্নান আকন্দ।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মঙ্গলবার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোটরমালিক গ্রুপের সাবেক উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আলম মোহন এবং মোটরমালিক গ্রুপের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ১০টি মোটরসাইকেল এবং একটি বাস কাউন্টারে আগুন দেয়া হয়।

এর প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৬টা থেকে জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় বগুড়া মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটি। ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ ছিল।

আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল, থানায় মামলা করা। তিনটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় মোহন সাহেবকে (মঞ্জুরুল আলম মোহন) এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। পুলিশ আহত হওয়ার মামলায় মোহন সাহেব তিন নম্বর আসামি। সংঘর্ষের ঘটনায় আরও মামালা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিন দিনের মধ্যে মোহন সাহেবকে ধরা না হলে আমরা আবার কর্মবিরতির ঘোষণা দেব।’

মঙ্গলবার জেলা সদরের চারমাথা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চার জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন ১০ জন। ছুরিকাঘাত করা হয় পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্য রমজান আলীকে। এ ঘটনায় আটক করা হয় সাত জনকে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মোটরমালিক গ্রুপের সাবেক উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আলম মোহন এবং মোটরমালিক গ্রুপের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়।

চারমাথায় শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়। পুড়ে যায় ওই অফিসের বেশ কিছু আসবাব।

সংঘর্ষের সময় রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক ও বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এতে সড়কে যানজট তৈরি হয়। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।

বগুড়া জেলা মোটর মালিক সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে তিন বছর ধরে বিরোধ চলছে। এক গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম মোহন। আরেক গ্রুপে আছেন বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। এরপর রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পুলিশ সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে বগুড়া সদর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশের করা মামলায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয়ের ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আমিনুল ইসলামের করা মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঞ্জুরুলের ভাই মশিউল আলমের করা মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর