নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব শামছুন নাহার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, স্থানীয় এমপির প্রতিনিধিত্ব নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল হওয়ায় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানাবেন। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এই উপজেলায় এক হাজার ৩২১ জন ভাতাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তাদের মধ্যে ৩৬৭ জনের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ আসে।
এর আগে গত শনিবার সকাল ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই সভা শুরু হয়। কিন্তু শুরুতেই ইব্রাহিম নামের এক জন নিজেকে সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের প্রতিনিধি দাবি করেন। একপর্যায়ে তা হট্টগোলে রূপ নেয়ায় ওই দিনের মতো কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে আবার সভা শুরু হলে ইব্রাহিম তার লোকজন নিয়ে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায়। ইউএনও’র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হোসেন বাঙ্গালী নিজেকে এমপির মনোনীত প্রতিনিধি দাবি করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ গত ২৮ জানুয়ারি স্বহস্তে লিখে আমাকে তার প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেন। কিন্তু শনিবার হঠাৎ ইব্রাহিম নিজেকে এমপির প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে হট্টগোল শুরু করে।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায় ৫ থেকে ৬ শতাংশ অমুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইব্রাহিম কমিটিতে ঢুকে ওই ভুয়া ব্যক্তিদের অসৎ উপায়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বৈধতা দিতে এই হট্টগোল করেছে।’
এদিকে অমুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ এবং প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সঠিক ও নির্ভুল তালিকা করার দাবি তোলেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা।