পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘নির্যাতনের পর থেকে নিখোঁজ’ যুবক মো. রায়হান গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কুয়াকাটার আলীপুরা এলাকা থেকে বুধবার সকালে তাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মইনুল হাসান বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।
রায়হানের বাড়ি কুয়াকাটার মহিপুর গ্রামে। তার বাবা আবুল কাশেম মিয়ার অভিযোগ ছিল, গেল বৃহস্পতিবার থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না রায়হানকে। পরের দিন ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও দেখে তাকে শনাক্ত করেন কাশেম।
ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক রায়হানকে মারধর করছে। আবার তাদের সঙ্গে বসে রায়হান মাদক সেবনও করছেন।
এসপি বলেন, রায়হানের বিরুদ্ধে মাদক, চুরিসহ পাঁচটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। তার নিখোঁজের ঘটনায় আবুল কাশেম অপহরণের মামলা করলে অভিযানে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মামলার আসামি ইউসুফ ব্যাপারী ও ইলিয়াস খানকে।
- আরও পড়ুন: বাবা বলছেন অপহৃত, পুলিশ বলছে আত্মগোপনে
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, মামলার আরেক আসামি ইমাম রায়হানের কাছে ইয়াবা বিক্রি বাবদ ৩০ হাজার টাকা পান। তা না দেয়ায় রায়হানকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে সবাই মিলে বসে মাদক সেবন করা শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এই আসামিরা সবাই একাধিক মাদক মামলার আসামি বলে জানান এসপি। তিনি বলেন, রায়হানকে যেখানে মারধর করা হয়, সেখানে গেল সোমবার অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে ১০ লিটার চোলাই মদ ও ৫৭৫ লিটার পচুই (মদ তৈরির কাঁচামাল) পাওয়া যায়। রায়হান ও আসামিরা সেখানে বসে নিয়মিত মাদক সেবন করতেন।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় গ্রেপ্তার এড়াতেই মাদক মামলার আসামি রায়হান আত্মগোপন করে ছিলেন বলে জানান এসপি।
তিনি জানান, রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।