বরগুনায় বাদশা নামে পরিচিত যুবলীগকর্মী শামীম ইমতিয়াজ হত্যা মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমানসহ সাত আসামির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছে আদালত।
জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইয়াসির আরাফাত মঙ্গলবার বাদশা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র নিয়ে আসামিদের নামে এ পরোয়ানা জারি করেন।
এ খবর শোনার পর নিহত ব্যক্তির বাবা সোহরাব মৃধা জানান, আদালতের আদেশে তিনি ছেলে হত্যার সুবিচারের আশা করছেন। তবে আসামির স্বজনরা নানা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সিদ্দিকুর রহমান সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর নিহত বাদশা ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মারুফ হোসেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগপত্রের শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ওই আসামিদের পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
সিদ্দিকুর রহমান ছাড়া পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আল-আমিন আকন, মজিবর সর্দার, জাকারিয়া, আল-আমিন গাজী, সেয়ারা বেগম ও নাসরিন বেগম।
বাদশার বাবা সোহরাব নিউজবাংলাকে জানান, ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সন্তান হত্যার সুবিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। এখন কিছুটা আশার আলো দেখছেন। মনে হচ্ছে সন্তান হত্যার সুবিচার পাবেন।
তিনি আরও জানান, আসামিদের স্বজনরা তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে বুড়িরচর ইউনিয়নের কামড়াবাদ এলাকায় বাদশাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন বাদশার বাবা সোহরাব মৃধা সিদ্দিকুরসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
আলোচিত এই হত্যা মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম।
তাতে বাদশাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয় সিদ্দিকুর রহমানসহ ১৪ জনকে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার আছেন সাত জন।