আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দফায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার অভিযানের প্রথম দিনেই তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনটি অবৈধ ইটভাটা সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে সব অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হবে।
সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভিযানে সাতকানিয়ার ঢেমশা এলাকার থ্রি স্টার ব্রিকস, ফোর স্টার ব্রিকস ও ফাইভ বিএম ব্রিকস নামের তিনটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়। ইটভাটাগুলোয় তৈরি কাঁচা ইট এবং ইট তৈরির নানা সরঞ্জামও নষ্ট করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অভিযানে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, এর আগে চট্টগ্রামের ২৬৫টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ৭৭টিতে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে ২৫টি সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দেয়া হয়৷
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হবে। বুধবার হাটহাজারী উপজেলার অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
গত বছর ২৯ অক্টোবর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হয়। এই রিট আবেদনের শুনানি শেষে ৭ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান ও এসএম আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলে ওই সংস্থা।
এর প্রেক্ষিতে ৩১ জানুয়ারি শুনানি শেষে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
এর মধ্যে গত ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযান বন্ধে ২৩টি ইটভাটার মালিক হাইকোর্টে গেলেও তাদের আবেদন টিকেনি। ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশনা বহাল রাখে আদালত।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক বৈঠকে মঙ্গলবার থেকে এসব অবৈধ ইটভাটায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।