জরায়ুতে অস্ত্রোপচারের জন্য রাবেয়া বেগম নামের সত্তরোর্ধ্ব এক নারী ভর্তি হয়েছিলেন রাজবাড়ীর একটি ক্লিনিকে। তবে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেছেন তার পিত্তথলিতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চুক্তি ছিল বলেই জরায়ুর পরিবর্তে পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
শহরের বড়পুলের আরোগ্য ক্লিনিকে মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
রাবেয়া বেগমের সন্তানরা নিউজবাংলাকে জানান, দীর্ঘদিন তাদের মা জরায়ুর রোগে ভুগছিলেন। টাকার অভাবে অপারেশন করাতে পারছিলেন না। দুই দিন আগে তাদের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে ফরিদপুরে ডাক্তার দেখিয়ে আনেন। সেদিন ডাক্তার তাদের জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। সোমবার রাজবাড়ীর আরোগ্য ক্লিনিকের বিপণন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জরায়ু অপারেশনের জন্য ১৬ হাজার টাকায় চুক্তি হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে তাদের মায়ের অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক এসএম হান্নান। বেডে আনার পর মায়ের পেটে ছিদ্র দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তারা।
আরোগ্য ক্লিনিকের বিপণন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, আলট্রাসনোগ্রামে পিত্তথলিতে পাথর পাওয়া গেছে। রোগীর সন্তানের সঙ্গে পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচারের চুক্তি হয়েছিল, জরায়ুর না।
এ বিষয়ে চিকিৎসক এসএম হান্নান জানান, পরীক্ষায় রোগীর পিত্তথলিতে পাথর ধরা পড়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাকে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের কথা বলেছিল।
চিকিৎসক হান্নান আরও জানান, পরবর্তী সময়ে ওই নারীর জরায়ুর অপারেশন করা যাবে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।