আগুনে পুড়ে গোটা বাড়ি ছাই। সেই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ছোট মেয়ে। এই দুঃসংবাদ শুনে মা অপর দুই সন্তানসহ তড়িঘড়ি করে রাতে ঢাকা থেকে ফেরার পথে পড়েন ডাকাতের কবলে। ডাকাতরা তাদের সর্বস্ব কেড়ে নেয়।
সোমবার রাত ১১টায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কলেজপাড়া এলাকার ম্যাকেঞ্জি দেওয়ানের বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে পুড়ে মারা যান তার মেয়ে খাগড়াছড়ি সিনিয়র ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক মাওশ্রীজিতা দেওয়ান। তিনি খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করতেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রতিবেশী প্রমিত চাকমা বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে হঠাৎ করে মাওশ্রীজিতাদের বাড়িতে আগুন দেখতে পাই। তখন বাড়িটির অর্ধেক অংশে আগুন জ্বলছিল। সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে আগুনের কথা জানানো হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে। তবে গাড়ি আসার আগেই প্রায় গোটা বাড়ি পুড়ে যায়।’
ম্যাকেঞ্জি দেওয়ান জানান, আগুন যখন লাগে তখন তিনি বাড়ি ছিলেন না। একটি কাজে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ফোনে আগুন লাগার খবর পেয়ে রাতেই ফিরে আসেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর পোড়া ঘরে মাওশ্রীজিতার অর্ধপোড়া মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ম্যাকেঞ্জি জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তার স্ত্রী দীপালি দেওয়ান সোমবার রাতেই বড় মেয়ে (যিনি পেশায় একজন চিকিৎসক), ছেলে ও নাতিকে নিয়ে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথে সোনারগাঁ এলাকায় পৌঁছালে তারা ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা তাদের টাকা, মোবাইল ফোনসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দিদারুল আলম জানান, রাত সাড়ে ১১টায় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসে। ঘরটি ছিল বাঁশ ও টিনের তৈরি। এতে আগুন সহজে ছড়িয়ে পড়ে। আবার রাস্তা সরু হওয়ায় আগুন নেভাতে একটু দেরি হয়। আগুন নেভানোর পর জানা যায়, একজন আগুনে মারা গেছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা জানা যায়নি।