সিরাজগঞ্জের পৌর এলাকায় চশমা মেরামত করতে বেরিয়ে অটোরিকশায় বাসের চাপায় নিহত স্কুলশিক্ষক ইরফাত সুলতানা রুনির মরদেহ থেকে খুলে নেয়া স্বর্ণ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বর্ণ চুরির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তিন ডোমকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের ডোম রানা, শাহ আলম ও সুমনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সিরাজগঞ্জ শহরের বাসা থেকে ১২ বছরের ছেলে ও ৬ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন রুনি। কিন্তু চশমার দোকানে পৌঁছানোর আগেই সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের কালাচাঁন মোডে দুপুর ১২টার দিকে তাদের বহনকারী অটোরিকশায় চাপা দেয় বাস। এতে নিহত হয় তিন জনই।
ঘটনাস্থল থেকে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ নিহত শিক্ষক ও তার দুই সন্তানের মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পরিবার থেকে ময়নাতদন্ত না করতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করে। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করার অনুমতি পেলে পরিবার বাসায় নিয়ে যায় মরদেহ।
পরে পরিবার অভিযোগ করে, নিহত শিক্ষকের শরীরে একটি স্বর্ণের চেইন, দুইটি আংটি, দুইটি হাতের বালা, এক জোড়া কানের দুল ও নাকফুল ছিল। কিন্তু মর্গ থেকে মরদেহ পাওয়ার পর কোনো স্বর্ণালংকার পায়নি বলে সিরাজগঞ্জ সদর থানাকে জানায় পরিবার।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘তিন ডোমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে নিহত শিক্ষকের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছি। সেগুলো তার পরিবারকে হস্তান্তর করব।’
এ বিষয়ে হাসপাতালটির আরএমও ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে অবশ্যই ডোমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’