কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুই জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার ধামতী গ্রামের আজিম উদ্দিন পীর সাহেবের দরবার শরীফে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ধামতী গ্রামের মহসীন চৌধুরী ও নবিয়াবাদ গ্রামের রাকিব হোসেনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকা পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে বিএনপির প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি এ এফ এম তারেক মূন্সী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসরের নামাজের পর আমার একদল কর্মী-সমর্থক নিয়ে ধামতী গ্রামের আজিম উদ্দিন পীর সাহেবের মাজার জিয়ারত করতে গেলে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২৫/৩০ জন ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় আমি আমার সমর্থকদের নিয়ে দরবারে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা চায়নিজ কুড়াল, কিরিচ, রাম দা, লাঠি ও রড নিয়ে দরজা ভেঙে আমার কর্মী-সমর্থকদের বের করে এনে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এ সময় ধামতী দরবারের খলিফা বাহাউদ্দিন বিন মহিউদ্দিন আমাকে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে বের হওয়ার সময় ওরা পিস্তলের তিনটি গুলি ছোড়ে।’
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কুমিল্লা (উ.) জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘শুনেছি বিএনপির প্রার্থীসহ তার দলবল নিয়ে ধামতী গ্রামে সভা করার সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিল। এ সময় আমার সমর্থরা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মীকে আহত করে। ২/৩টি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে।’
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আনোয়ার জানান, ‘শুনেছি ধামতী এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী পূর্বঘোষিত গণসংযোগ করার কথা, সেখানে বিএনপির প্রার্থী তার লোকজন নিয়ে গণসংযোগ করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। সত্যতা যাচাইয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাননি।
২৮ ফেব্রুয়ারি এই উপনির্বাচনে ভোট।