বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে আগুনে পুড়ে গেছে পাঁচ শতক বনভূমির গাছ ও লতাগুল্ম।
সোমবার সকালে ধানসাগর টহল ফাঁড়ির কাছে ২৭ নম্বর কম্পার্টমেন্টের বনে আগুন লাগে।
বন বিভাগ ও শরণখোলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট বিকেল ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে দাবি করেছে সুন্দরবন বিভাগ।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, আগুন লাগা এলাকা ঘিরে প্রায় আট শতক মাটি কেটে লইন অফ ফায়ার তৈরি করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও আগামী ২৪ ঘণ্টা এলাকাটি নজরদারিতে রাখবে বন বিভাগ।
তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই পুড়ে গেছে বনের পাঁচ শতক জমির গাছপালা। ভোলা নদী থেকে প্রায় ৫০০ মিটার সুন্দরবনের গহিনে এই আগুন নাশকতার বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে সুন্দরবন বিভাগ।
আগুন লাগার ঘটনায় চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এনামুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা অসিত কুমার রায় ও লন চাঁদপাই রেঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জার ওবায়দুর রহমান। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ডিএফওর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর টহল ফাঁড়ির পরিদর্শক (ওসি) বেল্লাল হোসেন বলেন, দুপুর ১টার দিকে তারা বনে আগুন লাগার খবর পান।
দুপুরে লোকালয়ের লোকজন সুন্দরবনের মধ্যে আগুনের ধোঁয়া উড়তে দেখে বন বিভাগকে খবর দেয়। এরপর চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এনামুল হক দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বনকর্মীদের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।
পরে শরণখোলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা এম আব্দুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের টিম ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় ৫০০ মিটার দূরত্বের ভোলা নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়।
ওসি বেল্লাল আরও জানান, বন বিভাগ ও শরণখোলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও ভিটিআরসিসহ লোকালয়ের লোকজন বিকেল ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সুন্দরবন বিভাগের তথ্যমতে, সুন্দরবনে ১৫ বছরে ২৭ বার আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৮০ একর বনভূমি। এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ মে পূর্ব সুন্দরবনে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ফরেস্ট ক্যাম্পের আওতাধীন আবদুল্লাহর ছিলায় আগুন লাগে। ওই আগুনে প্রায় পাঁচ একর বনভূমি ছাই হয়ে যায়।