বিয়ের নয় মাসের মাথায় গৃহবধূ রূপার মরদেহ উদ্ধার করা হয় শ্বশুর বাড়ি থেকে। তখন বলা হয়, আত্মহত্যা করেছে মেয়েটি। কিন্তু হত্যা মামলা করে পরিবার।ময়নাতদন্ত শেষে সমাহিত করা হয় তাকে।
এর মধ্যে আসে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। এতে জানানো হয় আত্মহত্যাই করেছেন রূপা। কিন্তু সন্দেহ থেকে যায় রূপার বাবা রতন চন্দ্রের মনে। পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেন তিনি।
এরই প্রেক্ষিতে সমাহিতের তিন মাস পর আদালতের নির্দেশে সোমবার দুপুরে তোলা হলো রূপার লাশ। গাইবান্ধার সাঘাটার ডিমলা পদুমশহর গ্রাম থেকে মরদেহ তোলার পর নেয়া হয়েছে বগুড়ায়।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বছরের ৬ নভেম্বর করা হত্যা মামলায় সম্প্রতি বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আসমা মাহমুদের আদালত রচনা রানী রুপার মরদেহ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।’
মামলায় বলা হয়, ২০১৮ সালের ৫ ফ্রেব্রুয়ারি সাঘাটার পদুমশহর গ্রামের রতন চন্দ্র মহন্তের মেয়ে রুপার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বগুড়ার মোকামতলা এলাকার সংকরপুরে অনিক চন্দ্রের সঙ্গে। বিয়েতে সাড়ে ছয় লাখ যৌতুক দেন রূপার বাবা।
কিন্তু বিয়ের একমাস পর অনিক চন্দ্র রুপাকে বাবার বাড়ি থেকে আরও টাকা আনতে চাপ দেন।
রুপা টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর চালানো হয় নির্যাতন।
গত বছরের ৫ নভেম্বর শ্বশুর বাড়ি থেকে রুপার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন রুপাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে তার বাবা শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওসি এস এম বদরুজ্জামান বলেন, ‘মরদের উদ্ধারের পর রুপার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর বিষয়টি ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি আদালত মরদেহ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।’
রুপার বাবা রতন চন্দ্র মহন্ত বলেন, ‘রুপাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ আমাকে দেয়া হয়। আমি এই হত্যার বিচার চাই। আর যেন কারো বাবার বুক খালি না হয়।’