সারা দেশের মতো কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলাতেও করোনার টিকা দান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় প্রশিক্ষিত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা প্রদান করলেও কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজেই টিকা দিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান।
তার এই টিকা প্রদানের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিকেল থেকে ভাইরাল হতে থাকে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান কুমারখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে করোনা টিকা প্রদান উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জজ। এ সময় সেখানে চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান সিরিঞ্জ হাতে নিয়ে তিন জনের শরীরে টিকা দিচ্ছেন। পাশে নার্স ও চিকিৎসকেরা তা দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। চেয়ারম্যানের টিকা দেয়ার ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
এ সময় টিকা নেয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, টিকা নেয়ার আগ মুহূর্তে আমি যতটুকু দেখেছি, এক জন নার্স টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। টিকা আমার গায়ে পুশ করার আগ মুহূর্তে আমি অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলাম। পরে ছবিতে দেখি উপজেলা চেয়ারম্যান সিরিঞ্জ হাতে টিকা পুশ করছেন।
তবে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আকুল উদ্দিনের দাবি করেন ওই সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এই ঘটনার ভিডিও দেখার পর উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন ফটোসেশনের জন্য এমনটি করেছেন। তিনি এটা করতে পারেন না।’
উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।