জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে গৃহবধূ মাহমুদা বেগমকে হত্যার ৯ বছর পর স্বামী হারুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
হারুন উপজেলার করগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার ওয়াদুদ মন্ডলের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
জামালপুরের জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খান রোববার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, ২০১২ সালের ১১ জুলাই সকালে নিজ বাড়িতে হারুনের সঙ্গে তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হারুন ও তার দুই বোন রিজু বেগম, রাজিয়া বেগম ও বাবা ওয়াদুদ মণ্ডল মাহমুদা বেগমকে মারধর করেন। হারুন গলা চেপে ধরেন, অন্যরা বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাহমুদাকে হত্যা করেন। হত্যার পর মাহমুদার লাশ গুম করার চেষ্টা চালান তারা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।এ ঘটনায় মহমুদার বাবা খলিলুর রহমান সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।মামলায় ২১ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে হারুনকে এই সাজা দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি হারুনের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খাঁন।অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় আসামির দুই বোন ও বাবাকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আমান উল্লাহ আকাশ ও মোজাম্মেল হক।