যশোরের মণিরামপুরে ত্রাণের চাল আত্মসাৎ মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রোববার বেলা বারোটার দিকে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইদ্রিস আলী জানান, সকাল ১১টার দিকে মণিরামপুরের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে যশোরের মণিরামপুরে পাঁচ ট্রাক সরকারি ত্রাণের চাল আসে। এর মধ্যে এক ট্রাক চাল গোডাউনে না নিয়ে স্থানীয় ভাই ভাই রাইস মিলে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫৪৯ বস্তা চাল উদ্ধার করে। আটক করা হয় মিল মালিক ও ট্রাক ড্রাইভারকে।
চালের বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় পুলিশ বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় মামলা করে। এই ঘটনায় আটক দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা জানায়, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুর নির্দেশে এ কাজ করেছিলেন তারা।
তদন্ত শেষে ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এতে বলা হয় ৫৪৯ বস্তা ত্রাণের চাল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুমার চক্রবর্তী বাচ্চু বেশি মুনাফার লোভে বিক্রি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মণিরামপুর উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের কুদ্দুস, জগদীশ দাস, তাহেরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, বিজয়রামপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন ও খুলনার মহেশ্বরপাশা গ্রামের ফরিদ হাওলাদার।