বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার দিগরাজের বালুর মাঠ এলাকা থেকে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ কামাল শিকদার নামের এক পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে তারা রোববার বিকেলে অভিযান চালায়। এ সময় দিগরাজ বাজার সংলগ্ন বালুর মাঠ এলাকা থেকে ৩০ বছর বয়সী কামাল শিকদারকে ২২ হরিণের মাংসসহ আটক করা হয়। আটক কামাল বালুর মাঠ এলাকার বাসিন্দা।
ওসি জানান, কামাল পুলিশের স্বীকার করেছে সে খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব গ্রামের চোরা শিকারি কার্তিকের কাছ থেকে এ মাংস কিনেছেন।
পরে মাসংগুলো তিনি মোংলাসহ আশপাশের এলাকায় চড়া দামে বিক্রি করে আসছিলেন।
- আরও পড়ুন: শরণখোলায় আবার জব্দ হরিণের মাংস, আটক ১
ওসি আরও জানান, জব্দ হরিণের মাংসে কেরোসিন তেল দিয়ে নষ্ট করে মাটিচাপা দেয়া হবে। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন-পাচার আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার সকালে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
গত কয়েকমাস থেকেই সুন্দরবন ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে হরিণের মাংসসহ পাচারকারী আটকের ঘটনা বেড়েছে।
বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, গত ছয় মাসে এসব এলাকা থেকে জব্দ করা হয়েছে ২৩৪ কেজি হরিণের মাংস।
পাচার ঠেকাতে শরণখোলা রেঞ্জে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে জেলেদের বনে ঢুকে মাছ শিকারের ছাড়পত্র দেয়া বন্ধ রেখেছে বন বিভাগ।
২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করে র্যাব। এর পরে বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগ দাবি করে, সুন্দরবনে বাঘ ও হরিণ শিকার কমে এসেছে।
তবে বন বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, গত ছয় মাসে (১ জুলাই ২০২০ থেকে ৩ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২১) সুন্দরবন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে ২৫ চোরাশিকারি। তাদের কাছে পাওয়া গেছে একটি বাঘের চামড়া, ২৩৪ কেজি হরিণের মাংস ও আড়াই হাজার ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদ। জব্দ করা হয়েছে নয়টি নৌকা আর মামলা হয়েছে ১৮টি।