বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলেজছাত্র সুদর্শন হত্যা মামলায় মা-ছেলের যাবজ্জীবন

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:২৮

খুলানার ডুমুরিয়ায় কলেজছাত্র সুদর্শন রায় হত্যা মামলায় মা-ছেলের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে শহিদ মিনারে ফুল দিতে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি সুদর্শন। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

খুলানার ডুমুরিয়ায় কলেজছাত্র সুদর্শন রায় হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দণ্ডিতরা সম্পর্কে মা-ছেলে। মামলায় অন্য এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

রোববার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক ইয়ারব হোসেন এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ডুমুরিয়ার বিপুল বিশ্বাসের স্ত্রী ৪৫ বছর বয়সী দ্রৌপদী বিশ্বাস ও তার ছেলে ২২ বছর বয়সী কংকন বিশ্বাস। মামলায় বিপুল বিশ্বাসকে খালাস দেয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দ্রৌপদীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মামলার আরেক আসামি কংকন বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এম ইলিয়াস হোসেন। আসামি পক্ষে ছিলেন সন্দীপ কুমার দাশ।

বটিয়াঘাটার সুকুমার রায়ের ছেলে ২৫ বছর বয়সী সুদর্শন রায় ছোটবেলা থেকে তার মামা দীনবন্ধু মণ্ডলের বাড়ি ডুমুরিয়ার বড়ডাঙ্গা এলাকায় থাকতেন। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনারে ফুল দেয়ার কথা বলে ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন সুদর্শন। রাত সোয়া ১২টার দিকে ডুমুরিয়া মির্জাপুর তিন রাস্তার মোড়ে কালভাটের অদূরে স্থানীয় তুহিন বিশ্বাসের সঙ্গে সুদর্শনের কথা হয়। পরে সে একা একা মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দিকে যান। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা সুদর্শনকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় লোকজন সুদর্শনের মরদেহ দেখে তার মামাকে সংবাদ দেয়। মরদেহে জখমের চিহ্ন ছিল। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

সেদিনই সুদর্শনের মামা দীনবন্ধু মন্ডল বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রায় চার বছরের মাথায় এই রায় দিল আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর