মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়ন থেকে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। আটক দুইজন হলেন আব্দুল হামিদ ও তার মা রহিমা বেগম।
নিহত আছমা বেগম ভুনবীর ইউনিয়নের আলিশারকুল গ্রামের আব্দুল মোতালিবের মেয়ে। তার শ্বশুরবাড়ি একই ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামে।
আব্দুল মোতালিবের প্রতিবেশী মালেক মিয়া বলেন, ‘ফুয়ায় (হামিদ) খয় (বলে) রাইত ১১টায় ফাঁস মারা (দিয়ে) লাশ নামাইছুন। তাইনের (হামিদ) মায় খয়, সখালে (সকালে) ফুরিনতে (আছমা) মরছে। তাইনগো খতার (কথায়) মধ্যই সন্দেহ।’
এলাকাবাসী জানায়, আছমা কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে থাকতেন। করোনার সময় দেশে এসে এলাকার অলিলা গ্লাস কোম্পানিতে চাকরি নেন। চাকরির সুবাদে আব্দুল হামিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে পাঁচ মাস আগে তারা বিয়ে করেন।
কিন্তু হামিদের মা ওই বিয়ে মেনে নেননি। গ্রামের মুরব্বিরা মিলে বিষয়টি সমাধান করে দিলে গত তিন মাস থেকে আছমা শ্বশুর বাড়িতে থাকছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি রহিমা বেগমের সঙ্গে আছমার কলহ লেগেই ছিল।
আছমার বোন আলেয়া বেগম জানান, সকালে হামিদ ফোন করে তাদের জানায় আছমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর রহিমা বেগম ফোন করে আছমার মারা যাওয়ার খবর দিয়ে সেখানে যেতে বলেন।
আছমা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলেও জানান তিনি।
আছমার পরিবার ভুনবীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদকে জানালে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
ওসি আব্দুস ছালেক বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’