শিশু গৃহকর্মীকে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগে ময়মনসিংহে এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় নির্যাতিত শিশুর পরিবারের লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওই রাতেই কোতোয়ালি মডেল থানায় তাদের নামে মামলা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হচ্ছেন অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী মুন্নী। মিজানুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি থাকেন ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায়।
নির্যাতিত শিশু ও তার পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজবাড়ি গ্রামের মুজিবুর রহমানের মেয়ে নিশি আক্তারকে (১২) তিন বছর আগে ঢাকার ধানমন্ডিতে ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ওই শিশুকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে আর দেখা করার সুযোগ দেননি গৃহকর্তা।
কয়েক দিন আগে শিশুটির হাত-পা বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তার শরীরে গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা এবং শরীরে গরম পানি ঢালা হয়। এতে শিশুটির শরীর ঝলসে যায়।
শনিবার ওই শিশুর পরিবারকে খবর দিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখানে শিশুটিকে রেখে মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী চলে যেতে চাইলে নির্যাতিত শিশু এবং তার পরিবারের লোকজনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। সেখান থেকে মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী মুন্নীকে আটক করে জনতা পুলিশে সোপর্দ করে।
এরপর নির্যাতিত শিশুর বাবা মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সুব্রত সাহা জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল পাওয়ার পর শিশুটিকে উদ্ধার এবং ব্যাংকার মিজান ও স্ত্রী মুন্নীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। রোববার তাদেরকে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে উপস্থিত করে উভয়ের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।