কুমিল্লার মুরাদনগরে আবাসিক ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে একটি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছেন। অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে।
মাদ্রাসাটির কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছিলেন প্রধান শিক্ষক। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ছাত্রীরা তাদের বিষয়টি জানালে শনিবার সকালে বৈঠকে বসেন তারা। বিষয়টি জেনে অভিযোগ তোলা ছাত্রীদের বৈঠকের আগেই একটি রুমে আটকে রাখেন প্রধান শিক্ষক। পরে কৌশলে বের হয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায় ছাত্রীরা।
মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিন যৌন হয়রানির অভিযোগ করত শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ করার পর অনেক শিক্ষার্থীকে কারণ ছাড়াই মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হতো।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাদেকুর রহমান বলেন, অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে দুপুরেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই শিক্ষক আগেও যৌন হয়রানির অভিযোগে জেল খেটেছেন। টাকা চুরির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ১০ বছরের এক ছাত্রীকে তার অফিস রুমে ডেকে শরীরে হাত দেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা থানায় অভিযোগ করলে, তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।