ঢাকার সাভারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় কারখানার মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে ওই নারী শ্রমিক সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। শনিবার ভোরে আসামিকে আটক করে পুলিশ।
ওই ব্যক্তির বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার একটি গ্রামে। তিনি সাভার পৌর এলাকার একটি কারখানার স্বত্বাধিকারী।
পুলিশ জানিয়েছে, কারখানাটি পরিচালনা করেন ওই ব্যক্তি ও তার কয়েকজন পার্টনার। ওই তরুণী তার কারখানায় কাজ করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে দুই মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি।
একপর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু কারখানার মালিক তালবাহানা শুরু করলে শুক্রবার রাতে ওই তরুণী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাহমুদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। পরে আটক ওই ব্যক্তিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।