কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সিএনজিচালক জনির খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার ৫ নং পাঁচথুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ শরীফপুর গ্রামে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে এলাকার নানা শ্রেণিপেশার কয়েক শ মানুষ অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন নিহত জনির বাবা মো. রিপন মিয়া ও মা আলেয়া বেগম এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শাহ আলম, সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সমাজসেবক সুলতান আহম্মেদ, আপন মজুমদার, কানু সর্দার, ছাত্রলীগ নেতা আশ্রাফুল ইসলাম সজীবসহ অনেকে।
জনি হত্যার চার মাস অতিবাহিত হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বছরের ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় জনি স্থানীয় খিলপাড়া চৌমুহনীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পরদিন বাড়ির পাশের কাঠবাগানে জনির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী চক্র জনিকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে।
এ ঘটনায় জনির বাবা রিপন মিয়া ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ শরিফপুর গ্রামের সাগর হোসেন, কালিকাপুর গ্রামের সাকিল, শরিফপুর গ্রামের হুমায়ুন মিয়ার নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েক জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রির প্রতিবাদ করায় আসামিরা জনির ওপর ক্ষিপ্ত হয়। হত্যার দুই দিন আগে আসামিরা বাড়িতে এসে জনিকে মারার জন্য খুঁজাখুঁজি করে এবং তাকে না পেয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যায়। পরে পরিকল্পিতভাবে জনিকে হত্যা করে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা জানান, ‘ঝুলন্ত অবস্থায় জনির লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ইতিমধ্যে বেশকিছু তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’