সাতক্ষীরা ও খুলনার কয়রা এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে টেকসই বাঁধের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা ও খুলনার কয়রার বিভিন্ন নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
পরিকল্পনাটি একনেকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এই এলাকায় স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাহিদ ফারুক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উপকূলের মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য নদীভাঙন কবলিত ১২টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় সেনাবাহিনী কাজ শেষ করেছে। ১২টি প্রকল্পে সেনাবাহিনীকে ৭৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
‘করোনার কারণে আমাদের কাজে ধীরগতি এসেছিল। ২০২০ সালে আম্পানের আগে জানুয়ারি মাসে এসে এই এলাকায় বাঁধগুলোর ভঙ্গুর দশা দেখে প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু মে মাসে আম্পানে সুন্দরবন উপকূলীয় সাতক্ষীরা-খুলনা এলাকার বাঁধগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দাতিনাখালী, লেবুবুনিয়া এবং খুলনা জেলার কয়রার গোলখালী, বেদকাশী, হরিণখোলা, আশাশুনি উপজেলার চাকলা ও কুড়িকাউনিয়ার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই টেকসই বাঁধ দেয়া হবে। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাঁধ দিতে গিয়ে যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৬ আসনের সাংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকউল্লাহ, শ্যামনগর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, কয়রা উপজেলার চেয়ারম্যান শফিকুলসহ আরও অনেকে।