পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরির আঘাতে এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও চারজন।
নিহত মান্নান মোজাহিদ মির্জাগঞ্জ উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর আমির ও পশ্চিম সুবিদখালী সালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই আজাহার হাওলাদার, শাকির হাওলাদার, সাইদুর রহমান ও মো. হানিফ। তারা বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লেমুয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
আহত আজাহার জানান, প্রতিবেশী কেতাব আলীর সঙ্গে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বাড়ির পাশের যে জায়গা নিয়ে বিরোধ সেখানে কেতাব আলী খড়ের পালা তৈরি করতে গেলে মান্নান বাধা দেন। এরপর তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে কেতাবের ভাতিজা শাকিল ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মান্নানকে জখম করেন। অন্যরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরও জখম করা হয়।
গুরুতর অবস্থায় মান্নানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ার ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় কেতাব আলী ও তার ছেলে লিটন হাওলাদারকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে শাকিল পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।