ভোলার মনপুরা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে জমি দখল, নির্যাতনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন হতদরিদ্ররা।
মনপুরার হাজিরহাট বাজারের উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কয়েকশ হতদরিদ্র নারী-পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
হাজিরহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরযতিন গ্রামের জাহানারা বেগম জানান, তার স্বামী ১৩ বছর আগে দুই ছেলে রেখে মারা যান। ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার ও তারা একই বাড়িতে বাস করেন। ওই বাড়িতে তার স্বামীর কেনা ৪৮ শতাংশ জমি দখল করতে ভাইস চেয়ারম্যান তাদের হামলা, মামলাসহ বিভিন্ন হয়রানি করে আসছেন।
জাহানারা আরও জানান, তাদের ঘরে মঙ্গলবার তালা দিয়ে যান পারভীন ও তার স্বজনরা। এ সময় বাধা দিলে ভাইস চেয়ারম্যান, তার আত্মীয়সহ প্রায় ১০-১২ জন তার ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে বাঁচাতে এলে ধারালো দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপরও হামলা করে তারা।
জাহানারা আরও জানান, এ ঘটনায় তার স্বজনেরা গুরুতর জখম হলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।
তিনি জানান, মারধর করে উল্টো তাকেসহ ১৫ জনকে আসামি করে থানায় মিথ্যা মামলা করে পারভীনের লোকজন। মামলায় তার (জাহানারা) ভাইয়ের দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জামিনে মুক্তি দেয়া হয়।
ওই এলাকার মো. মিলন ও মো. ফারুক, সালাহউদ্দিনের চরযতিন ও চরজ্ঞান মৌজায় ওয়ারিশি জমি রয়েছে। তারা জানান, ১৫ বছর ধরে পারভীন আক্তার জোর করে ওই জমি ভোগ দখল করে আসছেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক বার সালিশ হলেও তিনি ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে তা উপেক্ষা করে আসছেন। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি। তাই আমার প্রতিপক্ষ আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এদের দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। আমরা কখনো কারও পক্ষে অবস্থান করিনি। যে পক্ষেই আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসে আমরা তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।’