মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের দুই দিন পর বুধবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী দুটি ট্রলার ভিড়েছে।
শুঁটকি ও আচারজাত পণ্য নিয়ে ট্রলার দুটি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের আগেই বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর সে দেশের মংডু-আকিয়াব থেকে আসা ট্রলার দুটি বুধবার বন্দরের জেটিতে নোঙর করে।’
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আকিয়াব বন্দরে লকডাউন থাকায় পণ্য আমদানি- রপ্তানি কমায় রাজস্ব আয় কমেছে বলে জানিয়েছে স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ। জানুয়ারি মাসে টেকনাফ স্থলবন্দরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১১ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জানুয়ারি মাসে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি করে ৮ কোটি ২৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ওই মাসে ১৯ কোটি ৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
অপরদিকে, জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে ২ কোটি ৩০ লাখ ৩১ হাজার টাকার পণ্য মিয়ানমারে রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে সীমান্ত বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়ায় পণ্য আমদানি- রপ্তানি কম হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, মিয়ানমারে নতুন করে সেনা-অভ্যুত্থানের কারণে চলতি মাসে আমদানি-রপ্তানি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সেনা-অভ্যুত্থানের পর কিছুদিন সমস্যা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসেম সিআইপি জানান, মিয়ানমারে লকডাউনের কারণে এমনিতেই পণ্য আমদানি-রপ্তানি কম হচ্ছে। করোনা মহামারির প্রভাব ও সেনা অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে সীমান্তবাণিজ্য আগের মতো পুরোদমে চালু হবে।
তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো ধরনের উদ্বিগ্নতা বা সংশয় নেই।’