বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম ধর্মের প্রচারে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
বুধবার দুপুরে নগরের জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদে বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তার অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় আসীন করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তার।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নে যেমন নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়, তেমনি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ইসলামের প্রচার ও প্রসারেও নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়।
‘বঙ্গবন্ধু যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্থপতি ছিলেন, তেমনি বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনি।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ইসলামের প্রকৃত পরিচর্যাকারী ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন ফরিদুল হক খান।
বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু উদার চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান ছিলেন। তিনি কখনও ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করেননি। বাংলাদেশকে সব ধর্মের মানুষের জন্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট ছিলেন তিনি।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে হজযাত্রীদের জন্য কোনো সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা ছিল না। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম হজযাত্রীদের জন্য সরকারি তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করেন, হজ ভ্রমণ কর বাতিল করেন। ফলে হজ পালনকারীদের আর্থিক সাশ্রয় হয়।’
ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা ইতিহাসে চিরদিন লেখা থাকবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর সাড়ে ৩ বছর এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ইসলামের খেদমতে যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে পৃথিবীতে তার দৃষ্টান্ত বিরল বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার মসজিদ মন্দিরের যে উন্নয়ন করেছে তা কল্পনাতীত। ১০ হাজার কেটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন। করোনাকালীন মসজিদের ঈমাম ও মোয়াজ্জিনদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব আ. হামিদ জমাদ্দার, ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।