নওগাঁয় আদালত চত্বরে আবু সাঈদ মুরাদ নামে এক আইনজীবীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় চার পুলিশকে ক্লোজড (সংযুক্ত) করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সহকর্মীকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো কলম বিরতী পালন করছেন আইনজীবীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আদালতে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
লঞ্ছিতের ঘটনার এখনও সুস্পষ্ট কোনো সুরাহা না হওয়ায় বুধবারও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইনজীবীরা। ।
নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আইনজীবীদের সঙ্গে আবারও বৈঠক হচ্ছে। সমাধানের চেষ্টা অব্যহৃত আছে।’
হাফিজুর রহমান নামে এক আইনজীবী বলেন, ‘শুনেছি চার পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ (সংযুক্ত) করা হয়েছে। আসলে কাদের ক্লোজ করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ছাড়া অন্য কোনো সদস্যকে ক্লোজ করা হলে তো হবে না। কাগজ পাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’
১ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ মুরাদ রিকশা নিয়ে আদালত চত্বরে প্রবেশের সময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রাজিব ও পুলিশ সদস্য মুক্তার হোসেনসহ কয়েক তাকে রিকশা নিয়ে প্রবেশে বাধা দেন। এতে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে আইনজীবীকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে অভিযুক্ত পুলিশদের শাস্তির দাবিতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা। পরে শুরু করেন কলম বিরতী।