সারা দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া হবে করোনার টিকা। সেই লক্ষ্যে মাগুরায় কোভিড টিকাদানের ওপর তিন দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বুধবার ছিল কর্মশালার শেষ দিন। সোমবার মাগুরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অংশ নেন মোট ২২ জন জ্যেষ্ঠ নার্স।
জ্যেষ্ঠ নার্স শাহনাজ পারভীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই টিকা অন্য সব টিকার মতো নয়। অনেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত, অনেক দেশ এই টিকা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। সেখানে মাগুরার মতো একটি জেলায় নার্স হিসেবে কোভিড থেকে বাঁচাতে এই টিকা দিতে পারব ভেবে খুবই গর্বিত।’
আরেকজন জ্যেষ্ঠ নার্স পারুল গাইন বলেন, ‘সারা বিশ্বকে থমকে দেওয়া প্রাণঘাতি ভাইরাস এই করোনা। এই টিকা মানুষকে দেওয়ার সুযোগ পেয়ে খুবই আনন্দিত ও গর্বিত।’
নার্সদের সুপারভাইজার দুলালী বিশ্বাস জানান, করোনার টিকা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সতর্কতামূলক নানা বিষয় নিয়েও কথা বলা হয়েছে।
মাগুরা জেলার সিভিল সার্জন শহিদুল দেওয়ান জানান, সরকারি, বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথমে টিকা দেওয়া হবে। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, সেই ভিত্তিতে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরও এই টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
মাগুরার সদর হাসপাতালে টিকা দেওয়ার জন্য আটটি বুথ হবে। পুলিশদের জন্য আলাদা একটি বুথ থাকবে।
উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে তিনটি করে বুথের মাধ্যমে করোনার টিকা দেওয়া হবে। তবে ইউনিয়ন পর্যায়ে কীভাবে দেওয়া হবে, সে নির্দেশনা এখন পর্যন্ত আসেনি বলে জানান সিভিল সার্জন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র থেকে জানা যায়, করোনার টিকা দেওয়ার জন্য ৫৫ বছর থেকে বেশি বয়সী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
গত ২৯ জানুয়ারি মাগুরায় ২৪ হাজার টিকা আসে। টিকাগুলো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই সেন্টারের হিম কক্ষে রাখা হয়েছে।