চুয়াডাঙ্গায় কয়েক দিন ধরে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা থাকছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও হিম বাতাসের কারণে এর উষ্ণতা যেন গায়ে লাগেই না।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, জেলায় বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তা ছিল ৬ দশমিক ৩, যা ওই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড হয়।
এর আগে সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল জেলার এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শীত সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ নিয়ে আসে দিনমজুর ও ছিন্নমূলদের জন্য। শীতের কারণে সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে তেমন বের হয় না বলে আয়-রোজগারও হয় না দিনমজুরদের।
আলমডাঙ্গার কুলপালা গ্রামের শ্রমিক আব্দার আলী বলেন, ‘প্রতিদিন যে শীত পড়চি তাতে আর বাঁচা যাচ্চি না। শীতের কাপুড় নেই। তাই সকাল থেকিই আগুন পুয়াতি হচ্চি।’
প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কাজের আশায় শহরে আসেন এই শ্রমিকরা। শীতে কাজ কমে যাওয়ায় অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান।
দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর গ্রামের শ্রমিক আশাদুল হক বলেন, ‘আমার অভাবের সংসার। প্রতিদিন কাজ খুঁজতি শহরে আসি। কিন্তু কুনু দিন কাজ পাই, আবার কুনুদিন কাজ না পেয়ি বাড়ি যেতি হয়। খুব সকালে শীতের মদ্দি কাজ খুঁজতি এসি কাজ না পেয়ি বাড়ি যাওয়ার সুমায় খুব কষ্ট লাগে।’
শীতে ভোগান্তি বেশি হয় শিশু ও বয়স্কদের। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয় তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সাজিদ হাসান জানান, তিন দিনে সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে শিশুসহ ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। আর প্রতিদিন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে গড়ে ৭০ থেকে ৮০ জন। জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্ট ও কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এসেছেন তারা।
সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান জানান, রোগীর ভিড় বেড়েছে তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও।