ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণহারা বাসের চাপায় সড়কে অপেক্ষায় থাকা একই পরিবারের দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই পরিবারের এক শিশুসহ অন্য এক ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চালক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাথুলি বাসস্ট্যান্ডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার সুটুরিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী জাহানারা বেগম, তাদের ছেলে শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মরিয়মের দুই বছর বয়সী ছেলে আবু বক্কর ও ধামরাই উপজেলার বালিথা গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রহিম।
গোলরা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, বিকেলে নরসিংদী থেকে কাপড় বোঝাই বাসটি কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। সেটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাথুলি এলাকায় পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ হারায়। পরে বাসটি মহাসড়কের পাশের ফুটওভার ব্রিজের নিচের সিঁড়ির ওপর উঠিয়ে দেয়। এ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা জাহানারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার ছেলের স্ত্রী মরিয়ম ও ছোট শিশু বক্কর এবং ভ্যানচালক আব্দুর রহিমকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মরিয়মকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, আহত বাকি দুই জনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসচালক ও তার সহকারী পলাতক।
নিহত জাহানারা বেগমের ভাতিজা মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাইয়ের বউ মরিয়ম ভাবির বাসা ধামরাইয়ের নওগা গ্রামে। সবাই সেখানে বেড়াতে গেছিল। বিকেলে ব্যাটারি চালিত ভ্যানে বাথুলি বাসস্ট্যান্ডে আসেন তারা। সেইখানে ভ্যানের উপরেই সাটুরিয়া আসার বাসের জন্য বসে ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঢাকায় চাকরি করি। মানিকগঞ্জ ফিরার সময় বাস থেইকা দেখি বাথুলি এলাকায় ওই বাস ব্রিজের সিঁড়িতে ওঠানো। কিন্তু তখনও বুঝবার পারি নাই, আমার পরিবারের লোক এই দুর্ঘটনায় মারা গেছে।’
ওসি মনিরুল জানান, মরদেহ দুটি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে রয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। বাসচালক ও তার সহকারীকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, এ দুর্ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকলেও পরে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সরিয়ে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।