বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৃতীয় লিঙ্গের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাভারবাসী

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:২৭

ভুক্তভুগী নারী জানান, ‘আম্মা একা পেরে উঠছিলেন না। আর আমি ভীষণ অসহায় বোধ করছিলাম। পুলিশ তো এলোই না, প্রতিবেশীরা কেউ সাহায্যের জন্য আসেনি। পরে তিন হাজার টাকায় ওদের শান্ত করা হয়।’

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাভারবাসী। কোনো বাড়িতে সন্তান প্রসবের ঘটনা শুনলেই, সে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে টাকা দাবি করে তারা। টাকা না দিলে মৌখিক ও শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছে অনেককেই।

অভিযোগ উঠেছে, এসব ঘটনায় নীরব ভূমিকায় থাকে পুলিশ। তবে তা মানতে নারাজ প্রশাসন।

সাভারের গেন্ডা রাজাবাড়ি এলাকার এক বাড়িতে সন্তান জন্ম নিয়েছে, এমন খবরে মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়িতে এসে ১২ হাজার টাকা দাবি করে তৃতীয় লিঙ্গের একদল মানুষ। দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঘটনা গালিগালাজ ও হাতাহাতিতে পৌঁছায়। বাড়িতে ঢিল ছুড়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তোলে তৃতীয় লিঙ্গের ওই মানুষরা। পরে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের শান্ত করা হয়।

ভুক্তভোগী ওই নারী মঙ্গলবার ফেসবুকে এ ঘটনা শেয়ার করেন। তিনি লিখেছেন, ‘আজকে সকাল সকাল একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হলাম। সকালে মোটা গলার শব্দে ঘুম ভাঙে। উঠে দেখি, বাসার উঠানে তৃতীয় লিঙ্গের একদল মানুষ চিৎকার করছে। আমার আম্মা বের হলে তারা জানায় বাড়িতে নতুন সন্তান এসেছে, তাই তাদের ১২ হাজার টাকা দিতে হবে। অথচ আমার সন্তান হয়েছে এক বছর আগে। আম্মা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গালাগালির একপর্যায়ে তার গায়ে হাত তোলে।

ফেসবুক পেজে হেনস্তার কথা শেয়ার করেন ভুক্তভোগী। ছবি: নিউজবাংলা

বাধ্য হয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলাম। সাভার থানা অফিসার জানায়, ওদের আসতে ২০-২৫ মিনিট দেরি হবে। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবারও ফোন দিলাম। তখন পুলিশ জানায়, অন্য একটা কেসের কারণে দেরি হচ্ছে। এটা শেষ করেই তারা আসবে।

ওই নারী আরও জানান, আম্মা একা পেরে উঠছিলেন না। আর আমি ভীষণ অসহায় বোধ করছিলাম। পুলিশ তো এলোই না, প্রতিবেশীরা কেউ সাহায্যের জন্য আসেনি। পরে তিন হাজার টাকায় ওদের শান্ত করা হয়।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি এলে ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। তিনি বলেন, ‘আমি ৯৯৯-এ ফোন দিছি তিনবার। সাভার থানার এসআইকে ফোন দিছি দুইবার। আমি তো নাম বলতে পারব না। তবে নম্বর বলতে পারব। আমি এই প্রথম কল করছি। এর আগে কখনও করিনি। খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা হলো।’

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পাভেল মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই নারী সাহায্যের জন্য ফোন করলে, আমরা তা রিসিভ করে জানাই, একটা কাজে ব্যস্ত আছি। ওটা শেষ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে আসছি।

‘কিছুক্ষণ পর তিনি আবার ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে অপারেটরকে জানান এক ঘণ্টা হলো এখনও কেউ এলো না। তখন অপারেটর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিলে আমি ওই নারীকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমরা তো আসছি বললাম। এক ঘণ্টা ধরে আপনি অপেক্ষায় আছেন এমন অভিযোগের কারণ কী? জবাবে তিনি জানান, রাগের মাথায় তখন বলেছিলাম। এখন আর আসার দরকার নাই। ওরা চলে গেছে।’

ফেসবুকে ওই স্ট্যাটাসের পর সাভারের বাসাবাড়ি, পরিবহন ও দোকানপাটে তৃতীয় লঙ্গের মানুষদের চাঁদাবাজি-হয়রানির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর