বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাকা আত্মসাৎ: দুই সরকারি কর্মকর্তা কারাগারে

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:০৭

দিনাজপুরে সরকারি কোষাগার থেকে ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে দুই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি ও কম্পিউটার ডিজিটাল ডিভাইসে বে-আইনিভাবে প্রবেশ করে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দুই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা হলেন হাসপাতালটির ‘ক্যাশ সরকার’ আমিরুল ইসলাম এবং জেলা অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসের ‘অডিটর’ মাহাফুজার রহমান।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি আমিরুল হাসপাতালের ক্যাশ সরকার পদে কর্মরত থাকার ফলে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন উত্তোলন সংক্রান্ত কাজে হিসাবরক্ষণ অফিসে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সেই সুবাদে হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মাহাফুজারের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে।

একপর্যায়ে পরস্পর যোগসাজশে হিসাবরক্ষণ অফিসের অনলাইনের বিল ও অন্যান্য কার্যক্রমের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করেন আমিরুল ইসলাম। সেই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ডিজিটাল ডিভাইসে বে-আইনিভাবে প্রবেশ করে ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অর্থজালিয়াতি করে আসছিলেন তিনি।

তিনি ভুয়া পরিচয়পত্র বানিয়ে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে কর্মরত দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার উপস্থাপন করেন এবং বিভিন্ন সময় সেই বিল উত্তোলন করেন। সর্বশেষ ৩১ জানুয়ারি জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৮০ টাকার চেক সংগ্রহ করেন। কিন্তু তার দাখিলকৃত বিল-ভাউচার খুঁজে না পাওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয় হিসাব সংরক্ষণ কার্যালয়ের নিরীক্ষা বিভাগের।

পরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিষয়টি দৃষ্টিগোচর করে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাকে উক্ত অর্থ ছাড় না করতে অবহিত করেন। সেই সঙ্গে বিল ভাউচার খুঁজে না পাওয়ায় জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার সন্দেহের সৃষ্টি হয়।

পরবর্তী সময়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বিভিন্ন নথি ঘেঁটে দেখেন ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জাল বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারি কোষাগার থেকে ২ কোটি ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মণ্ডল সোমবার দিবাগত রাতে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, প্রথমে বিল-ভাউচার না পাওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে প্রাথমিক তদন্তে প্রায় ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি উঠে আসে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্ত চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর