কুড়িগ্রামে পিংকী খাতুন শিল্পীকে হত্যার দায়ে তার স্বামী রাসেল বাবুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান এই রায় দেন। এ সময় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়া আসামি রাসেল বাবু উপস্থিত ছিলেন না।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস এম আব্রাহাম লিংকন। আসামি পক্ষে ছিলেন সিদ্দিকুর রহমান ও ফকরুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের হাতেম আলীর মেয়ে পিংকী খাতুনের সঙ্গে পাশের বাঁশজানি গ্রামের সোলায়মান আলীর বিয়ে হয়। বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের তিন মাসের মধ্যে সালিসের মাধ্যমে উভয়ের ছাড়াছাড়ি হয়। এর কিছুদিন পরই পরিবারকে না জানিয়ে পিংকী পাশের নাগেশ্বরী উপজেলার রাসেল বাবুকে বিয়ে করেন।
দেড় বছর পর যৌতুকের জন্য পিংকীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন বাবু। সেই সময় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা পিংকী তার বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। পিংকীকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য চাপ দেন বাবু। পিংকী রাজি না হওয়ায় লোকজনের অনুপস্থিতে ওই বছরের ২৭ মে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে দেহ ঘরের ভিতর ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান বাবু।
শুনানি শেষে আদালত আসামির অনুপস্থিতে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
পিপি এস এম আব্রাহাম লিংকন জানান, আসামি রাসেল বাবু হাইকোর্ট থেকে প্রায় দেড় বছর আগে জামিন নিয়ে আসেন। এরপর থেকে তিনি পলাতক।