বাগেরহাটে তৃতীয় দিনের মত জব্দ হলো হরিণের মাংস। জেলা রামপাল উপজেলায় মঙ্গলবার ভোররাতে এবার হরিণের ৪২ কেজি মাংসসহ বাবা-ছেলেকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আটক আব্দুর রহমান শেখ ও তার ছেলে মোস্তাকিন শেখ রামপালের গোবিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ নিয়ে গত তিন দিনে বাগেরহাটে হরিণের মাংসসহ আটক হয়েছে ছয় জন। জব্দ করা হয়েছে ১০৯ কেজি মাংস।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাফিন মাহমুদ বলেন, গোপন তথ্যে ডিবি পুলিশের একটি দল রামপালের বগুড়া ব্রিজ এলাকায় মঙ্গলবার ভোররাতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে হরিণের ৩টি মাথা ও ৪২ কেজি মাংসসহ আব্দুর রহমান ও তার ছেলেকে আটক করা হয়। তাদের রামপাল থানায় নেয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার মধ্যরাতে শরণখোলা উপজেলা থেকে হরিণের ২০ কেজি মাংসসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছেন বনরক্ষীরা। গত শনিবার গভীর রাতে মোংলায় হরিণের মাথা ও ৪৭ কেজি মাংসসহ তিন চোরাকারবারিকে আটক করে কোস্টগার্ড। আর গত ২২ জানুয়ারি শরণখোলা থেকে ১৯টি হরিণের প্রক্রিয়াজাত করা চামড়াসহ দুজনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
সুন্দরবন ও সুন্দরবনের প্রাণিজ সম্পদ রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলার লেফটেন্যান্ট এম মাজহারুল হক।
‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২’-এর অধীনে ২০০৯ সালের হরিণ ও হাতি লালন-পালন বিধিমালায় হরিণ প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার মাংস খাওয়ার অনুমতি ছিল। কিন্তু বিধিমালা ২০১৭- তে তা বন্ধ করা হয়েছে।