সাভারে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীলা রায়কে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলায় সাকিব হোসেন নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকা থেকে সোমবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সাভার পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শিরুর ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) নির্মল কুমার দাস মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ নিয়ে মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান, তার বাবা আবদুর রহমান, মা নাজমুন নাহার, সহযোগী সেলিম পালোয়ানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
পরিদর্শক নির্মল কুমার নিউজবাংলাকে জানান, মামলায় সাকিবের নাম না থাকলেও নীলা হত্যার তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আটকের পর তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার তাকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার সাকিব মামলার প্রধান আসামি মিজানুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এত দিন সে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিল। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্তের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা রায় নামে ওই স্কুলশিক্ষার্থীকে তার ভাইয়ের কাছ থেকে কৌশলে আড়ালে ডেকে নিয়ে যায় প্রেমিক মিজানুর। পরে পৌরসভার দক্ষিণ পাড়া এলাকায় নিয়ে নীলাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সে।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের পর মিজানুরের বন্ধু সাকিব ও তার ভাই শাকিলের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, মাদক, ইভ টিজিংসহ নানা অভিযোগ তোলে নীলার পরিবার ও এলাকাবাসী।
তবে তদন্তে মামলার প্রধান আসামি মিজানুরের সঙ্গেই কেবল সাকিবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।