বাণিজ্যখাতে বিএসএফের হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ‘জীবন-জীবিকা বাঁচাও’ ব্যানারে শ্রমিক কর্মচারীসহ বন্দর সংশ্লিষ্টদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে।
কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন সোমবারও বন্ধ রয়েছে পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি।
সীমান্তের দুইপারের বন্দরে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
বেনাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ভারতে পেট্রাপোল বন্দর সংশ্লিষ্টদের দাবির বিষয় নিয়ে কোনো সমাধান না হওয়ায় কেউ কাজে যোগ দিচ্ছেন না। রোববার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাঁচ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও দেড় শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়।
বাণিজ্যিক কাজে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করতেন। বন্দর শ্রমিকদের অনেকে যাত্রীদের ব্যাগ বহন করতেন। বিএসএফ সম্প্রতি নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকায় তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়।
এ ছাড়া বিএসএফের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ট্রাক তল্লাশিতে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ হয়। এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সংগঠনটি। সমাধান না হওয়ায় ‘জীবন-জীবিকা বাঁচাও’ ব্যানারে কর্মবিরতি শুরু করে বন্দর সংশ্লিষ্টরা।এরই মধ্যে তাদের আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেছে আমদানি-রপ্তানি সমিতি, ট্রাকচালক, বন্দরশ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, ভারতীয় সংগঠন যৌক্তিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।
সন্তোষজনক সমাধানের মাধ্যমে দ্রুত পণ্য পরিবহন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, চলমান সমস্যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবু সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিগগিরই বাণিজ্য সচল করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।