বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন চাকার ‘গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স’

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:৪২

ইউএনও জানান, উপজেলার যে কোনো কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে নিতে ২০০, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০০ ও জেলা সদর হাসপাতালে ৬০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা টাকা দিতে অক্ষম তাদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে ০১৭০৬৭৭১০০ এবং ০১৭০৬০০৪৯৪ নম্বরে ফোন দিতে বলা হয়েছে।

তিন চাকার বাহনটি দেখতে অটোরিকশার মতো। তবে এটি অটোরিকশা নয়, অ্যাম্বুলেন্স। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় জরুরি রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে এ অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসন।

সাদা রঙের এ যানের নাম গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স। প্রথাগত অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে ছোট হওয়ায় সরু রাস্তায়ও যেতে পারে সহজে। বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে এ অ্যাম্বুলেন্স।

সাটুরিয়া উপজেলার নয় ইউনিয়নে বসবাস চার লাখের বেশি মানুষের। এখানে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ছাড়াও রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু রাস্তা ভাঙা ও সরু হওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারে না বড় পরিবহন। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় জরুরি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হন রোগীরা।

সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় প্রসূতিদের ক্ষেত্রে। এ ছাড়া উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও বঞ্চিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে। তাদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতেই ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, উপজেলার পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে এবং উপজেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় দুটি গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ ফরমায়েশ দিয়ে যান দুটি বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টাকা।

উপজেলার তিল্লি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুরছালীন বাবু জানান, তার ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা ও অত্যন্ত সরু। এই তিন চাকার অ্যাম্বুলেন্স তার ইউনিয়নের অলিগলিতে ঢুকে জরুরি রোগীদের স্থানীয় বা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘আশা করি আগামীতে প্রতি ইউনিয়নে এই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করবে উপজেলা প্রশাসন।’

গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্সের চালক শফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাকে একটি মোবাইল ফোন ও একটি নম্বর দিয়েছেন। চব্বিশ ঘণ্টা মোবাইল নম্বরটি খোলা থাকে। এতে যে কেউ ফোন দিতে পারেন।

সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মামুন উর রশিদ জানান, সরকারিভাবে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আছে। যার মধ্যে একটি অকেজো। অপরটিও চলছে কোনোরকমে।

তিনি বলেন, ‘তিন চাকার এ গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে যুক্ত হওয়ায় রোগীদের সেবার মান বাড়বে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী জরুরি সেবাটা দ্রুত সময়ে পাবে।’

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম বলেন, ‘যোগদানের আগে ভেবেছিলাম রাজধানীর পাশে হওয়ায় এ উপজেলা অনেক উন্নত। কিন্তু বাস্তবে দেখি তার উল্টো চিত্র।

‘সম্প্রতি হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। এরপরই প্রসূতি ও গ্রামীণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তিন চাকার দুটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়।’

ইউএনও জানান, উপজেলার যে কোনো কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে নিতে ২০০, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০০ ও জেলা সদর হাসপাতালে ৬০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা টাকা দিতে অক্ষম তাদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।

তিন চাকার এই অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ০১৭০৬৭৭১০০ এবং ০১৭০৬০০৪৯৪ নম্বরে ফোন দিতে বলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর