ধর্ষণের অভিযোগে পদহারা রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনিকে আবার দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক আদেশে রোববার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় পদচ্যুতির আদেশ তুলে নেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রনির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় তার পদচ্যুতির আদেশ প্রত্যাহার করে স্বপদে বহাল করা হলো। একই সঙ্গে আগামী দুই মাসের মধ্যে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশ প্রদান করা হলো। অন্যথায় কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে।
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় রনির বিরুদ্ধে ভুয়া বিয়ে করে একাধিকবার ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন এক স্কুলশিক্ষিকা।
ওই শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, প্রেমের সম্পর্কের জেরে ভুয়া বিয়ের নাটক সাজিয়ে দীর্ঘদিন তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ছাড়া কয়েকবার ভারতের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়েও তাকে ধর্ষণ করে রনি।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ অক্টোবর ছাত্রলীগের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকায় রনিকে পদচ্যুত করা হয়। একই সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমন সরকারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়।
এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রনির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা তথ্যগত ভুল। সে কারণে গত দুই সপ্তাহ আগে তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।