মা রোকসানা মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনায়। একই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। তবে বেঁচে রয়েছে রোকসানার ছয় বছরের শিশুকন্যা রুমি। শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
রোববার সকালে শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের বাজিতখিলা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার সাত আরোহীর মধ্যে ছয় যাত্রীই নিহত হয়েছেন।
সর্বশেষ নিহত যাত্রীর নাম মামুন মিয়া। তিনি নালিতাবাড়ীর বাসিন্দা ছিলেন।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক খায়রুল কবির সুমন জানান, মামুন মিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।বাকি পাচঁ জন হলেন অটোরিকশার চালক নালিতাবাড়ীর বন্ধধারা গ্রামের জাবেদ আলী, রাজনগর ইউনিয়নের চাঁদগাওয়ের নায়েব আলীর ছেলে সেলিম, নিহত সেলিমের স্ত্রী ময়না, একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রোকসানা বেগম, মৃত কেতু মিয়ার ছেলে লাল মিয়া।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন দেবনাথ জানান, অটোরিকশাটি নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী বাজার থেকে শেরপুর শহরের দিকে আসছিল। তাতে চালক জাবেদ আলীসহ সাত আরোহী ছিলেন। পথে মির্জাপুর এলাকায় নাকুগাঁওগামী ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশাটির সংঘর্ষ হয়।তিনি আরও জানান, সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশায় থাকা তিন জন নিহত হন। আহতদের চার জনকে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে এক জনের মৃত্যু হয়। বিকেলে সদর হাসপাতালেই মারা যান আরও একজন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হান্নান মিয়া জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাকচালক পালিয়ে গেছেন। কিন্তু ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে।