গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে তিন মাস বয়সী এক কন্যাশিশুকে টয়লেটে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে।
রবিবার বিকেলে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ধুমাইটারী (জকরীপাড়া) গ্রামের একটি টয়লেট থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে, শনিবার বিকেলে ঘর থেকে নিখোঁজ হয় শিশু নুর হাওয়া। পরে শিশুটিকে না পেয়ে ওই রাতেই সুন্দরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন বাবা নুরুল ইসলাম।
অভিযুক্ত নারীর নাম তানজিলা বেগম।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, এর আগে তানজিলার বিয়ে হয়েছিল। আগের পক্ষে তার একটি ছয় বছরের কন্যা সন্তান আছে। তানজিলা বর্তমান স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া করতেন ও আগের পক্ষের স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাইতেন। প্রতিবেশীদের ধারণা তানজিলা এই স্বামীর সংসার না করার জন্যই তার শিশুটিকে হত্যা করেছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান নিউজবাংলাকে জানান, শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর তানজিলার ওপর সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের ও এলাকাবাসীর। জিজ্ঞাসাবাদে তানজিলা তার মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তানজিলার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির টয়লেটের ভিতর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকালে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গ পাঠানো হবে। এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করায় তানজিলা বেগমকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে, কি কারণে শিশুটিকে টয়লেটে ফেলে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।