বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে সেই শম্পা

  •    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:৩৩

বাবার চিকিৎসকের খরচ জোগাতে ১০ বছর বয়সী শম্পার ভ্যান চালানোর ছবি দেখে আপ্লুত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তার বাবার চিকিৎসা হয়েছে; ব্যবসার জন্য দেয়া হয়েছে এক লাখ টাকা। শম্পাদের বানিয়ে দেয়া হয়েছে ঘর।

ভ্যান চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা জামালপুরের শিশু তাহাজ্জুত শম্পার পরিবার ঘর ও দোকান বুঝে পেয়েছে।

জেলা প্রশাসক এনামুল হক রোববার বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার নাকাটি গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে শম্পার পরিবারকে ঘর, দোকান হস্তান্তর করেন। সঙ্গে দেন কিছু টাকা।

পাঁচ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিছানা নেন শম্পার বাবা শফিকুল ইসলাম। এরপর থেকে সবজি বিক্রি করে সংসারের হাল ধরেন শম্পার মা নেবুজা বেগম। সেই উপার্জনেও চলছিল না সংসারের চাকা।

বাবার ওষুধের টাকা সংগ্রহ করার জন্য দেড় বছর আগে ভ্যান চালানো শুরু করে শম্পা। গত বছরের নভেম্বরে ফেসবুকে তার ভ্যান চালানোর ছবি ভাইরাল হলে পর তা নজরে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

জামালপুরের জেলা প্রশাসককে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন সরকার প্রধান। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেন শম্পার পরিবারের। তারা বাবাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে এসে চিকিৎসা করানো হয়।

২০২০ সালের দুই ডিসেম্বর এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে দুই শতাংশ জমির ওপর শম্পাদের জন্য নতুন ঘর নির্মাণ শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শম্পার পরিবারকে দেয়া ঘর। ছবি: নিউজবাংলা

টিনশেড ঘর, দোকান, অর্থ, চিকিৎসা ও লেখাপড়ার ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শম্পা ও তার পরিবার।

নিউজবাংলাকে শম্পা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমরা এখন খুব খুশি। আমি বড় হয়ে পুলিশে চাকরি করব। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে খুব কৃতজ্ঞতা জানাই।’

শম্পার মা নেবুজা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগে অনেক কষ্ট করছি। ভাত ঠিকমতো পাইতাম না। কাপড় পাইতাম না।

‘স্বামী ছয় বছর ধইরে অসুস্থ পড়েছিল। আমার মেয়েটা নয় থেকে ১০ বছর পন্ত ভ্যানগাড়ি চালায়ে সংসার চালাইত। ওর বাবার চিকিৎসার খরচও চালাইত। এহন আমরা আজকে অনেক অনেক খুশি। অনেক অনেক ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাইলাম।’

শম্পার পরিবারকে ঘর, দোকান, টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠান। ছবি: নিউজবাংলা

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শম্পার পরিবারকে আজ ঘর ও দোকান করে দিয়েছি, ব্যবসা করার জন্য নগদ অর্থও বুঝিয়ে দিয়েছি। জামালপুরবাসী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।’

এ সময় সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিনসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর