রংপুর জেলায় বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রোববার রেকর্ড করা হয়েছে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যে, রোববার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের মৌসুম শুরুর পর থেকেই তীব্র ঠাণ্ডা ও কুয়াশায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল এই জেলার মানুষ।
এর মধ্যে গত তিন দিনে শীত বাড়ায় হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড়। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শনিবার কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, গত শুক্রবার জেলার তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি ও শনিবারে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববারই তাপমাত্রা কমে হয় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জেলার এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
মোস্তাফিজুর আরও জানান, তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিনে আরও কমতে পারে।
জেলায় রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। নগরী ও এর আশপাশের এলাকার মানুষকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি। বেলা বাড়লেও খোলেনি বেশিরভাগ দোকান-পাট ও বিপনি বিতান।
ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে দিনেও সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক আখতার ফারুক শামীম জানান, শীতের তীব্রতায় কোল্ড ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বেড়েছে, যার মধ্যে শিশু রোগিই বেশি। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে একশ শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার মিনহাজুল কবির নিউজবাংলাকে জানান, কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে একদিনেই। তাদের বয়স চার থেকে ছয় মাস।
শীতের তীব্রতা থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে বাড়তি যত্ন নিতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন শিশু চিকিৎসক আখতার।