করোনার টিকা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই বলে আবার অভয় দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, টিকা না দিলেই বরং ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা কিনেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে, যেটি বিশ্বের মোট টিকার ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে থাকে।
এই টিকা দেশে আসার পর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই টিকা নিরাপদ নয়। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমনও বলেন, ‘টিকা নিয়ে সরকার বিএনপিকে মেরে ফেলতে চায়।’
অবশ্য ২৭ জানুয়ারি টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মানুষের মধ্যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার মন্ত্রী তার নিজের জেলা মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টিকা নিয়ে বিশেষ অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য রাখেন।
সেখানে তিনি বলেন, ‘টিকা না নেয়াই ভয়ের কারণ। কারণ, আপনি তখন ভালোভাবে ঘুরবেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি হবেন। যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন। সে জন্য আমি মনে করি, টিকা নেয়া ভালো হবে এবং বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সরকার চাচ্ছে আপনারা টিকা নিন, সুস্থ থাকুন।’
অবশ্য সবাইকে দেয়ার মতো পর্যাপ্ত টিকা এই মুহূর্তে সরকাররে হাতে নেই। সিরাম থেকে কেনা তিন কোটি ৪০ লাখ টিকার মধ্যে প্রথম চালানের ৫০ লাখ ও ভারতের উপহার দেয়া ২০ লাখ টিকা হাতে আছে সরকারের হাতে।
এই টিকা দিয়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকা কার্যক্রম শুরু করতে চায় সরকার। এ জন্য জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে টিকা।
প্রথম ধাপে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সরকারের অপরিহার্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও প্রবীণদেরকে দেয়া হবে টিকা।
এ জন্য অনলাইনে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা দেয়ার পরে রেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ অসুস্থ বোধ করলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া টিকার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক নয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারও চিকিৎসা আছে।’
মন্ত্রী বলেন, মোবাইল আ্যপসের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাদের জন্য কষ্টকর মনে হয়, তারা টিকা কেন্দ্রে গিয়ে ফরম পূরণ করতে পারবেন।
জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দিন, মানিকগঞ্জ পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র রমজান আলীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।