বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তহশিলদারের বিরুদ্ধে অন্যের ফসল কেটে নেয়ার অভিযোগ

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:১৭

পুলিশ ফসলি জমিটি সরেজমিন পরিদর্শন করে মিমাংসার জন্য কাগজপত্রসহ দুই পক্ষকে রোববার সকাল ১০টায় থানায় আসতে বলা হয়। কিন্তু বিবাদীরা তা না মেনে শনিবার সকালে ক্ষেতের সব সরিষা তুলে নিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বা তহশিলদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় আবুল কালাম পরিবারের ভোগ দখল ও রেকর্ডভুক্ত জমির ফসল কেটে নেয়ায় অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সকালে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংবাদিক আনিছুর রহমানের চাচা আবুল কালাম বাদী হয়ে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাহাদৎ হোসেনসহ আট জনের নামে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

রৌমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমাছ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাতে ওই ফসলি জমিটি সরেজমিন পরিদর্শন করে মিমাংসার জন্য কাগজপত্রসহ দুই পক্ষকে রোববার সকাল ১০টায় থানায় আসতে বলা হয়। কিন্তু বিবাদীরা তা না মেনে শনিবার সকালে ক্ষেতের সব সরিষা তুলে নিয়ে গেছে।’

সাংবাদিক আনিছুর রহমান জানান, তার চাচা আবুল কালাম পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১৫ শতক জমি ৫৩ বছর ধরে খাজনা দিয়ে ভোগদখল করে আসছেন। যাদুরচর পূর্বপাড়া এলাকার আবুল ফজল শনিবার সেই ক্ষেতের সব সরিষা তুলে নিয়ে যায়। তার আগে কৃহস্পতিবার রাতেই রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ দেয়ার পরও তারা জমির সরিষা তুলে নিয়ে যায়।

জমির মালিক আবুল কালাম অভিযোগ করেন, তার রেকর্ড ও ভোগদখলে থাকা জমিটি আবুল ফজল গংরা দখলে নিতে, বিভিন্নভাবে উসকানি ও মদদ দিয়ে যাচ্ছেন রৌমারী সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাহাদৎ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘সাহাদৎ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২০১৭ সালে একই এলাকার আবুল ফজল গংদের নামে নামজারি করে দেন। পরে আমরা মিস কেস করলে ২০২০ সালে আবুল ফজল গংদের নামের নামজারি মামলাটি বাতিল করা হয়। এরপর তহশিলদার সাহাদৎ হোসেন রৌমারী সদর ইউনিয়নে বদলি হোন। একই বছরে যাদুরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পান ওই তহশিলদার। টাকা নিয়ে জমিটি পুনরায় ডিসেম্বর মাসে আবুল ফজল গংদের নামে নামজারি করে দেন তিনি।’

অভিযুক্ত রৌমারী সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী সাহাদৎ হোসেন উসকানি দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আবুল ফজল গং যা করছেন তা আইন মেনে করছেন। জমি তাদের দখলে থাকায় সরিষা তুলে নিয়েছে।’

তার বিরুদ্ধে আনা সব মিথ্যা বলে দাবি করেন সাহাদৎ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান জানান, তারা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। জমি থেকে কেটে নেয়া সরিষা জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর