বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এইচএসসির ফল প্রকাশের দিনেও মিষ্টি বিক্রি নেই

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:২৫

‘প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের দিন মিষ্টির অর্ডার থাকে। বিকাল হওয়ার আগে আমাদের মিষ্টির তাক ফুরিয়ে যায়। এবারই প্রথম দেখছি, এজন্য কোনো ক্রেতা নেই। কারণ যারা পরীক্ষার ফলাফলে মিষ্টি কিনত, তারা দোকানে এসই বলত আমার সন্তান ভালো রেজাল্ট করছে। দোয়া করবেন ভাই।’

এইচএসসির ফল প্রকাশ হয়েছে শনিবার। অন্য সময় এই দিনে মিষ্টি কেনার ধুম পড়ত। কিন্তু এবার মিষ্টির দোকানিরা হতাশ।

মাগুরা শহরের পুরাতন মিষ্টির দোকান চলন্তিকা হোটেলের মালিক জয়ন্ত ঘোষ বলেন, ‘মিষ্টির দোকানের বয়স ধরেন ৫৫ বছর। বাপ-দাদার আমল থেকে দেখি পরীক্ষার ফলাফলের দিন প্রচুর মিষ্টি কেনে মানুষ। দৈনিকের চাহিদা থেকে সেই দিন ১০ গুণ মিষ্টি বিক্রি হয়। কিন্তু এবারই প্রথম দেখলাম এক কেজি মিষ্টিও এই বাবদ কেউ কিনল না।’

তিনি বলেন, ‘অটোপাশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, জানলে আজ অতিরিক্ত মিষ্টি বানাতাম না।’

শনিবার সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। মাগুরায় বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হয়।

জেলা শিক্ষা অফিস কর্মকর্তা মাজেদ উর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, এ বছর মাগুরা জেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৫৩ এবং মেয়ে শিক্ষার্থী ৩ হাজার ৪০৮জন। সরকার করোনা পরিস্থিতির কারণের আগের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণ করেছে। তাই মাগুরার প্রত্যেক পরীক্ষার্থী পাশ করেছে।

‘পাশের হার শতভাগ হলেও মানুষ খুশি না। আনন্দ থাকলে মিষ্টি কিনে সবাইকে খাওয়াত। এহন দেকছি দোকানের মিষ্টিও বিক্রি হয় না’ বলেন মামুন হোটেলের মালিক মামুন মিয়া।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের দিন মিষ্টির অর্ডার থাকে। বিকাল হওয়ার আগে আমাদের মিষ্টির তাক ফুরিয়ে যায়। এবারই প্রথম দেখছি, এজন্য কোনো ক্রেতা নেই। কারণ যারা পরীক্ষার ফলাফলে মিষ্টি কিনত, তারা দোকানে এসই বলত আমার সন্তান ভালো রেজাল্ট করছে। দোয়া করবেন ভাই।’

মাগুরা শহরের অন্তত ১০ জন মিষ্টি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার তাদের মিষ্টি কিনতে কোনো ভিড় নেই। এমনকি কোনো দোকানে মিষ্টিই বিক্রি হয়নি।

গোপাল ঘোষ নামের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভাবছিলাম কিছু মিষ্টি বিক্রি হবে। তাই রাতে বেশকিছু মিষ্টি বানিয়ে রাখলাম। সকাল থেকে দেখি সেগুলো কিনতে কেউ আসছে না। কী ফলাফল বের হলো, মানুষের মনে আনন্দ নেই!’

নাইমুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ছেলে এবার এইচএসসি পাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফলাফল তো আগেই ঘোষণা করা। আজ আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এতে আমি খুশি না। কারণ আমার ছেলে পরীক্ষা দিতে পারলে, ভালো ফলাফল করত। তাই মনে আনন্দ নাই। মিষ্টি খাওয়াতে ইচ্ছা করেনি।’

আরিফুর রহমান নামের আরেক অভিভাবক বলেন, ‘মেয়ে অটোপাশ করেছে। এজন্য সামাজিকভাবে তাকেও কথা শুনতে হচ্ছে। পরীক্ষা হলে অনেক ভালো করত। এখন এটা মেনে নিয়েই আমাদের আগাতে হবে। মিষ্টি খাওয়ানোর প্রশ্নই আসে না। এমনিতেই মানুষ এই ফলাফলকে বাজে ভাবে দেখছে। তাতে মিষ্টি খাওয়াতে গেলে হাঁড়ি ভেঙে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর