সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ৫০ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ১০ জন নিয়মিত এবং ৪০ জন অনিয়মিত শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা সংখ্যা গতবারের তুলনায় চার গুণেরও বেশি বেড়েছে।
শতভাগ উত্তীর্ণের পাশাপাশি এবার চট্টগ্রামে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থী। যাদের মধ্যে ছাত্রী ৬ হাজার ৩৯৬ জন এবং ছাত্র ৫ হাজার ৭৪৭ জন। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ২ হাজার ৮৬০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
কী কারণে এসব শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাননি জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ দেবনাথ বলেন, ‘অনেকে এসএসসির পর বিভাগ পরিবর্তন করে বিজ্ঞান থেকে মানবিকে বা ব্যবসায় শিক্ষায় গিয়েছে। কেউ এসেছে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে, কেউ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে। বিভাগ বদলের কারণে বিজ্ঞানের একটি বিষয়ের সঙ্গে হয়তো মানবিকের বা ব্যবসায় শিক্ষার একটি বিষয়ের তুলনা করে সাবজেক্ট ম্যাপিং করতে হয়েছে। এ কারণে অনেকে জিপিএ-৫ হারিয়েছে।’
জিপিএ-৫ বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকের তুলনায় জিপিএ-৫ অনেক বেড়েছে। এর কারণ হচ্ছে পরীক্ষাহীন ফলাফল। পরীক্ষা হলে ফলাফল এমন হতো না। পরীক্ষা না হওয়ার কারণে জিপিএ-৫ বেড়েছে।’
এবার প্রকাশিত ফলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৪৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। যাদের মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৯৩ জন এবং ছাত্রী ৪ হাজার ৯৫০ জন। ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৫৭৫ জন। যাদের মধ্যে ছাত্রী ১ হাজার ১২৩ জন এবং ছাত্র ৪৫২ জন। মানবিক বিভাগে সবচেয়ে কম ৫২৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। যাদের মধ্যে ছাত্রী ৩২৩ জন এবং ছাত্র ২০২ জন।
২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলার ২৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯৭ হাজার ৯৬৭ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেন। ওই বছরের ১ এপ্রিল থেকে এসব শিক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২২ মার্চ সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। পরে পরীক্ষাহীন ফলাফল প্রকাশে আইন সংশোধন করে সরকার।